চীন থেকে পাবনার ঈশ্বরদীর আমদানিকারক তিয়ান্যে আউটডোর (বিডি) কোম্পানি লিমিটেড তুলার সুতার চালানে এনেছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার শলাকার সিগারেট। ৮৭৭টি কার্টনে আসা চালানটি জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
সোমবার বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার খুলে এসব সিগারেট পান কাস্টমস কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সালাউদ্দিন রিজভী।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চীন থেকে ‘কটন ইয়ার্ন’ ঘোষণায় ৪০ ফুট লম্বা একটি কনটেইনারে চালানটি বন্দরে আসে। চালানটি আমদানির লক্ষ্যে বেপজার থেকে আইপি ইস্যু করা হয়। এটি খালাসের জন্য চট্টগ্রামর স্ট্র্যান্ড রোডের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ক্রনি শিপিং করপোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিল অব এন্ট্রি (সি-৫৬৪৪৯) দাখিল করে। এরপর পণ্য চালানটি শুল্কায়নের জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি ইপিজেড কাস্টমস কর্তৃপক্ষের নিকট দলিলাদি দাখিল করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাথমিক ধারণায় ২৬ ফেব্রুয়ারি কাস্টমসের এআইআর শাখা পণ্য চালানটির খালাস কার্যক্রম স্থগিত করে। কায়িক পরীক্ষার জন্য ২৭ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্টের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে এআইআর শাখা ব্যর্থ হয়।
পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার কাস্টমস গোয়েন্দা, তদন্ত অধিদপ্তর, সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে পণ্য চালানের কন্টেইনার পরীক্ষা করে। পরীক্ষায় ৮৭৭টি কার্টনে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৩০ হাজার শলাকার সিগারেট পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ওরিস সিলভার ১ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার শলাকা, ওরিস গোল্ড ১৮ লাখ ৮০ হাজার শলাকা, ইজি গোল্ড ১০ লাখ শলাকা, ডানহিল ২ লাখ ৫০ হাজার শলাকা, ডানহিল সুইচ ২ লাখ ৪০ হাজার শলাকা, ওরিস ডাবল আপেল ১ লাখ শলাকা, ওরিস স্ট্রভেরি ১ লাখ শলাকা, বেনসন এন্ড হেইজেস ২ লাখ ৬০ হাজার শলাকা ও মন্ড ৬০ হাজার শলাকা জব্দ করা হয়।
কাস্টমসের উপ-কমিশনার রিজভী জানান, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে অভিনব কায়দায় আনা সিগারেটের চালানটি জব্দ করা হয়েছে। এ চালানে পাওয়া সিগারেটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৬২ লাখ টাকা। যার মাধ্যমে প্রায় ২১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা হয়েছিল। সিগারেট শর্তসাপেক্ষ আমদানিযোগ্য এবং এটি উচ্চ শুল্কের পণ্য।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের হাউসের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, কাস্টম আইন ১৯৬৯ এবং প্রচলিত আইন ও বিধি অনুযায়ী দোষীদের ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।