ছবি সংগ্রহীত
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস। কেউ এসেছেন নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে, আবার কেউ মরদেহ শনাক্তে ব্যস্ত।
রোববার (৫ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে ফায়ার ফাইটারসহ ৩৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়েছেন চমেক পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো. আলাউদ্দিন।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী রয়েছেন। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ২০ জনসহ দেড়শতাধিক লোক আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
শনিবার রাতে প্রথমে আগুন লাগার পর রাত পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাত থেকে রোববার বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ৩৩ জনের মরদেহ পাওয়া যায় বলে নিশ্চিত করে কর্তৃপক্ষ।
চমেক হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা গেছে, চমেক হাসপাতালে একের পর এক অগ্নিদগ্ধ মরদেহ আসছে। বেলা সোয়া ১১টা পর্যন্ত ৩৩টি মরদেহ এসেছে। এরপর ১২টার পরে এক অ্যাম্বুলেন্সে করে আরও চারটি মরদেহ আসে। হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ আসছে। কোনো অ্যাম্বুলেন্সে দুটি, আবার কোনো অ্যাম্বুলেন্সে চারটি পর্যন্ত মরদেহ আনতে দেখা গেছে। মরদেহ আসা অব্যাহত রয়েছে। তাই নিহত সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
নিহতদের মধ্যে দুইজন ফায়ার সার্ভিসেরসহ সাতজনের জনের পরিচয় মিলেছে। এছাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাতজন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
কনটেইনার ডিপোতে এখনও আগুন জ্বলছে। এ অবস্থায় সকাল ১০টার দিকে অভিযানে যোগ দেয় সেনাবাহিনীর প্রায় ২০০ জনের একটি দল।
এদিকে আগুন নেভাতে ঢাকা থেকে আসছে বিদেশে উচ্চ প্রশিক্ষিত বিশেষ টিম। এরই মধ্যে তারা চট্টগ্রামের পথে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা থেকে আমাদের বিশেষ টিম রওনা দিয়েছে। তারা বিদেশে উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। আশা করি, তারা এসে আগুন নেভাতে সক্ষম হবেন। ‘আমাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর একটি টিমও যুক্ত হয়েছে।
তবে রাসায়নিকের কারণে আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৮৩ জন সদস্য ২৫টি গাড়ির মাধ্যমে আগুনে নেভাতে রাত থেকেই নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
সূত্র সময়ের কণ্ঠস্বর