শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন

গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ধস, ঈদেও যাচ্ছে না লোডশেডিং (ভিডিও)

প্রতিনিধির নাম / ৭৯ বার
আপডেট : বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

ছবি সংগ্রহীত
পুরো বাংলাদেশের সতের কোটি মানুষ এখন বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায়। মাত্র কয়েকদিন আগে এ অর্জনকে ঘটা করে উদযাপন করা হলেও, হঠাৎ ভোগাচ্ছে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণা। সারাদেশে লোডশেডিং করা হচ্ছে দৈনিক দেড় হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। জ্বালানির অভাবে প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন না হওয়ায় এ পরিস্থিতি। পিডিবির হিসাবে, কেবল গ্যাস সংকটে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না, সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট।

পিডিবির হিসাবে, গেলো ২ জুন পৌনে তের হাজার মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হয় সোয়া ১২ হাজার। ফলে, ৫শ মেগাওয়াটের ঘাটতি সমন্বয় করা হয় সারাদেশে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে। তবে, পরের দিন অবস্থা ছিল আরো ভয়াবহ। কারণ, চাহিদা-সরবরাহের ব্যবধান এতোটাই বেড়ে যায় যে, লোডশেডিং উঠে দেড় হাজার মেগাওয়াটে।

পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন বলেন, বিশ্ববাজারে অস্বাভাবিক জ্বালানি তেলের মূল্য এবং এর সরবারহ সমস্যা সৃষ্টি হওয়াতে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। এরকম সমস্যার মুখোমুখি আমাদের হতে হবে তা চিন্তাও করিনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ছাড়াও জাপান, অস্ট্রেলিয়া তারাও এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে।
বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা এখন প্রায় ২১ হাজার মেগাওয়াট। এর বিপরীতে সর্বোচ্চ প্রায় পনের হাজার উৎপাদন করা গেলেও, তা নেমে এসেছে ১৩ হাজারের নিচে। পেট্রোবাংলা বলছে,

বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ২২৫ কোটি ঘনফুটের চাহিদা থাকলেও, ৪ জুলাই সরবরাহ করতে পেরেছে মাত্র ৮৮ কোটি ঘনফুট। ফলে, প্রায় সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায় নি গ্যাসের অভাবে। আর সরবরাহ কমার পেছনে অন্যতম কারণ, এলএনজির আমদানি কমে যাওয়া।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, আমরা যদি পেছনের দিকে তাকাই সেক্ষেত্রে দেখা যাবে আমাদের এমন সমস্যা হওয়ার কথা ছিলনা। পেট্রোবাংলা যেখানে পিছিয়ে গেছে সেখানে পুরোটাই তারা আমদানির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছিল। আমদানির ওপর নির্ভরশীল থাকলে সরবরাহ ঝুঁকি ও মূল্য ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়
সূত্র চ্যানেল ২৪

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ