বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩, ১২:০৩ পূর্বাহ্ন

কাউন্সিলরের পুত্রবধূর লা’শ বিছানায়: স্বামী গ্রে”ফতার, শাশুড়ি পলাতক

প্রতিনিধির নাম / ১১৩ বার
আপডেট : রবিবার, ৩ জুলাই, ২০২২

ছবি সংগ্রহীত
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নুরুল আমিনের পুত্রবধূ রেহনুমা ফেরদৌসের (২৫) মৃত্যুর ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় তার স্বামী নওশাদ আমিনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (২ জুলাই) রেহনুমার বাবা তারেক ইমতিয়াজ বাদী হয়ে নগরীর পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে আরেক আসামি রেহনুমার শাশুড়ি পলি বেগম পলাতক।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কাউন্সিলরের পুত্রবধূ মৃত্যুর ঘটনায় রাতে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় নওশাদ আমীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পলাতক আছেন রেহনুমার শ্বাশুড়ি। তাকেও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে।

মামলার বাদী তারেক ইমতিয়াজ বলেন, ২০১৮ সালে রেহনুমার সঙ্গে নওশাদ আমিনের বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের মেয়ে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমার মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নিয়মিত নির্যাতন করতো।

দেড় মাস আগেও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বাসায় দুই দফা সালিশ বৈঠক হয়েছিল। এরপরও তারা থামেনি। তাদের নির্মম নির্যাতনে রেহনুমা মারা গেছে। এখন আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ‘এটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারা আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছে। তারা বলছে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। কিন্তু আমরা মেয়ের লাশ পেয়েছি বিছানায়। এছাড়া ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করলে জিহ্বা ও চোখ বাইরে বেরিয়ে আসার কথা। কিন্তু আমার মেয়ের জিহ্বা ছিল স্বাভাবিক। আর চোখ একেবারেই বন্ধ ছিল। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তারা এসব বলছে।’

জানা গেছে, শনিবার সকাল ১০টায় শ্বশুরবাড়ির একটি কক্ষ থেকে রেহনুমার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

তবে রেহনুমার স্বজনদের দাবি, তাকে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বাবার বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তবে জানাজায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন রেহনুমার স্বজনরা।
সূত্র প্রথম আলো

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ