নিউজ ডেস্ক,নরসিংদী জার্নাল।। ওসি মহসিন রোগীদের ইফতার ও সেহরি খাবার দিচ্ছেন ।
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রোগীদের জন্য ফ্রি ইফতার ও সেহরি শপের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (০৪ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিনের উদ্যোগে এ ভিন্নধর্মী শপের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম।
এ সময় পুলিশ সুপার বলেন, পুলিশ জনগণের প্রকৃত বন্ধু। মানুষ বিপদে পড়লে পুলিশকে ডাকে। আসলে পুলিশ মানুষের বিপদের বন্ধু। এখন পুলিশ অনেক ভালো কাজ করে।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ফ্রি ইফতার থানার গেটে না হয়ে হাসপাতালে কেন? এমন প্রশ্ন করলে ওসি মহসিন বলেন- আসলে সদর হাসপাতালে অপেক্ষাকৃত গরিব মানুষ বেশি চিকিৎসা নিতে আসে। বিকেলের দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত রোগী ভর্তি হয়। রোগীর সঙ্গে দুইজন তিনজন থাকে। তারা ইফতারের সময় ওষুধ কিনতে দৌড়াবে, নাকি ইফতার কিনতে? দুস্থ রোগী, অসহায় অথবা যে কেউ আসুক, এখান থেকে তারা ফ্রি ইফতার ও সেহরি পাবে। তার কথা যুক্তিসম্মত এবং আমি সম্মতি জানিয়েছি। এখন শুনছি, অনেক মানুষ এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়াতে চেয়েছে। এটিই হলো মানবতা। আমাদের ভেতরটাকে জাগ্রত করতে হবে। এটা যেন চালু থাকে। আসলেই এটি একটি মহৎ উদ্যোগ। এ উদ্যোগের জন্য ওসি মোহাম্মদ মহসিনকে ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ বিজনেস অব চেম্বারের (বিডিচ্যাম) সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সাহিদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলহাজ সাহিদুজ্জামান টরিক।
তিনি বলেন, ভালো কাজ করার জন্য খুব বেশি টাকা-পয়সার দরকার হয় না। ভালো একটা মন থাকা চাই। শুধু একটা কথা বলবো, আপনার ভেতরটাকে একটু জাগ্রত করুন। কেউ এগিয়ে আসবে তা নয়, আপনি নিজে আগে এগিয়ে আসুন। কিছু না পারি, একটা খেজুর এবং এক বোতল পানি যদি কোনো মানুষের হাতে তুলে দিতে পারি, এটার জন্যও আল্লাহ আরও ৭০ গুণ বরকত দিয়ে দেবেন। অন্তত আমরা এইটুকু চিন্তা করি, আমরা কিছু করতে চাই কিনা। উদ্যোগ একজন নেয়, সেটা সফল করে আপনাদের আমাদের মতো মানুষ। সবাই সহযোগিতা করবেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন বলেন, প্রথম দিন ১৪০ জন রোগীর জন্য ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ৩টার দিকে সেহরি দেওয়া হবে। এ উদ্যোগ চলমান থাকবে ও পরিমাণ বাড়ানো হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফাতেহ আকরাম, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা ইউনিটের সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাসরিফ/ নরসিংদী জার্নাল