ঢাকায় এমবিবিএস পড়াশোনা করার সময় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হন প্রেমিককে পেতে। তবে সে স্বপ্ন পূরণও হয়। বিয়ে হয় প্রেমিক বাবলুর রশিদের সঙ্গে। তবে বিয়ে করার পরও স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির স্বীকৃতি পাননি বলে অভিযোগ তুলেছেন আয়েশা সিদ্দিকা নামে এক চিকিৎসক। তার বাড়ি বরিশাল সদর উপজেলায়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সাংবাদিকদের নিকট স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছেন।
লিখিত বক্তব্যে আয়েশা সিদ্দিকা জানান, ঢাকায় ২০১৫ সালে এমবিবিএস পড়াশোনা করাকালীন সময়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার আব্দুল বাসেদের ছেলে বাবলুর রশিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয় পড়েন। পরে ২০১৬ সালে ঢাকা জজ কোর্টে সনাতন ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হয়ে দুজনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর ঢাকায় ৩ বছর ও ঠাকুরগাঁও শহরের সরকারপাড়া এলাকায় আরও ২ বছর সংসার করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে থাকাকালীন সময়ে আমার স্বামী মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় সংসারে অশান্তি শুরু হয়। কারণে অকারণে টাকার জন্য আমার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানাই। তারাও আমার উপর চড়াও হয় এবং টাকা দিতে ও আমার পিতা-মাতাকে ধর্মত্যাগ করার জন্য চাপ প্রয়োগ শুরু করে। উপায় না পেয়ে আমি আদালতে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করি। মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
‘বর্তমানে আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন ঠাকুরগাঁও ছেড়ে চলে যেতে এবং মামলা তুলে নিতে নিয়মিত হুমকি দিচ্ছে। ধর্মত্যাগ করার কারণে পিত্রালয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। এদিকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনও বাড়ির বধূ হিসিবে স্বীকৃতি দিয়ে ঠাঁই দিচ্ছে না। এ অবস্থায় আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।’ সাংবাদিকদের মাধ্যমে ওই চিকিৎসক প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর স্বামী বাবলুর রশিদের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে তার শ্বশুর আব্দুল বাসেদ সাংবাদিকদের বলেন, মেয়েটি ধর্ম ত্যাগ করে আমার ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমরা মেনেও নিয়েছিলাম। পরে মেয়েটি পুনরায় নিজ জেলায় গিয়ে বিয়ে করেছে। এমন খবর আমরা পেয়েছি। তাছাড়া মামলা মোকদ্দমায় জড়ানোর কারণে আমার ছেলে তার সাথে সংসার করতে চায় না। তারা দুজনে সংসার করলে আমার কোনো আপত্তি নেই।