স্পোর্টস ডেস্ক || ইতিহাস গড়ার হাতছানি পাকিস্তানের সামনে।
টেস্ট ক্রিকেটে আজকাল ৩০০ রান তাড়া করে জেতার নজির ঘটছে হরহামেশাই। তবে তার একটিও ঘটেনি গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। আজ পাকিস্তানের সামনে সেই অভূতপূর্ব ঘটনাটাই ঘটিয়ে দেওয়ার হাতছানে। শেষ দিনে দলটির প্রয়োজন মাত্র ১২০ রান, হাতে আছে ৭ উইকেট। আজ গলে শেষ দিনে এই ১২০ রান তুলে ফেলতে পারলেই ইতিহাস গড়া হয়ে যাবে বাবর আজমের দলের।
শেষ ইনিংসে পাকিস্তানের সামনে লক্ষ্যটা ৩৪২ রানের। এমন বিশাল লক্ষ্য পাকদের কাছে রীতিমতো মামুলি হয়ে গেছে ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের সেঞ্চুরিতে। সঙ্গে বাবর আজমের অর্ধশতক চতুর্থ দিন শেষে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে যোগ করেছে তিন উইকেটের বিনিময়ে ২২২ রান।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৭ রান যোগ করে পাকিস্তানের সামনে যখন সাড়ে তিনশ’ ছোঁয়া লক্ষ্য ঝুলিয়ে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, তখন সেটা বেশ বড় বলেই মনে হচ্ছিল। এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ডই যে ২৬৮ রানের!
তবে এই পরিসংখ্যানের সামনে পাকিস্তান ভড়কে যায়নি। আব্দুল্লাহ শফিক আর ইমাম উল হকের ৮৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় দলটি। তবে ইমামের বিদায়ের একটু পর আজহার আলি ফিরলে কিছুটা দুশ্চিন্তাই ভর করে বসে পাক শিবিরে।
প্রথম ইনিংসে ১১৯ করে পাকিস্তানকে রক্ষা করা বাবর আজম ক্রিজে আসেন এরপর। চতুর্থ দিনের টার্নিং উইকেটে ইনিংস গড়ায় মনোযোগ দেন আব্দুল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে। নিজে পান অর্ধশতকের দেখা, ছুঁয়ে ফেলেন ৩০০০ টেস্ট রানের মাইলফলকও।
দিনের খেলার যখন বাকি আর মাত্র ওভার সাতেক, তখনই প্রবাথ জয়াসুরিয়ার দারুণ এক টার্নে বিভ্রান্ত হয়ে উইকেট খুইয়ে বসেন তিনি, ফেরেন ৫৫ রানে।
এর একটু আগে সেঞ্চুরির দেখা পাওয়া আব্দুল্লাহ শফিক অবশ্য দিন শেষ করেছেন অপরাজিত থেকেই। ১১২ রানে দিন শেষ করা তিনি সঙ্গী হিসেবে পেয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানকে। দু’জনের ব্যাটে করেই শেষ দিনে আজ ইতিহাস গড়ার স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান।
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আশিকুল/নরসিংদী জার্নাল