শনিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:৩৮ পূর্বাহ্ন

আসামে বাংলাভাষীদের থেকে আলাদা করে ‘আদি’ মুসলমানদের স্বীকৃতি

প্রতিনিধির নাম / ৯৯ বার
আপডেট : বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২

ছবি সংগ্রহীত
বাংলাভাষী মুসলমানেরা অনেকদিন ধরে আসামে নিগ্রহের শিকার। এবার আরও প্রান্তিক হলো তারা। সেখানকার ‘আদি’ মুসলমানদের চিহ্নিত করে স্বতন্ত্র জাতির স্বীকৃতি দিল হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার। এর ফলে আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদের থেকে আলাদা হলেন অহমিয়াভাষীরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কেশব কুমার মোহন্ত বলেন, ‘পাঁচটি সম্প্রদায়কে আদিবাসী মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। তারা হলেন গোরিয়া, মোরিয়া, দেশি, জুলাহ ও সৈয়দ। এই পাঁচটি মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের অসমীয়া মুসলিম উপ-গোষ্ঠী বা আদিবাসী অসমীয়া মুসলিম হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হবে।

সরকারের তরফে জানানো হয়, আসাম সংখ্যালঘু উন্নয়ন পর্ষদের আবেদনের ভিত্তিতেই এই দলিল তৈরি করছে রাজ্য সরকার। সরকারের যুক্তি, এর ফলে সহজে সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করা যাবে। তাদের জন্য একাধিক সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প রয়েছে, আলাদা দপ্তর রয়েছে। এবার সংখ্যালঘুদের চিহ্নিত করে সরকারি সাহায্য পৌঁছে দেওয়া যাবে।

এদিকে সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর গোরিয়া উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারপারসন হাফিজউল আহমেদ বলেন, ‘আমরা ২০০৬ সাল থেকে আমাদের সম্প্রদায়ের জন্য একটি পৃথক শ্রেণিভাগের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু যেহেতু এমন কিছু ছিল না, তাই আমরা বাংলাভাষী মুসলমানদের চাপে এবং দূরে সরে যাচ্ছিলাম। আজকের সিদ্ধান্তের জন্য আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’

এর আগে গত ৩০ মে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত ঘোষণা করেছিলেন, সে রাজ্যের মুসলিম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ, বৌদ্ধ ও পার্সিদের সংখ্যালঘু শংসাপত্র দেওয়া হবে। এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাবও পাশ করানো হয়েছিল মন্ত্রিসভায়।

সেই সময় হিমন্ত দাবি করেছিলেন, জেলার জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যালঘু নির্ণয় করা উচিত। তিনি বলেন, একটি সম্প্রদায় সংখ্যালঘু কি না, তা রাজ্য বা জেলার মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা উচিত।

এর আগে আসামের বাজেট অধিবেশন চলাকালীন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে হিমন্ত শর্মা বলেছিলেন যে এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং সংবিধানের ২৫ থেকে ৩০ অনুচ্ছেদে দেওয়া সংজ্ঞা অনুসারে, ‘সরাসরি কেউ বলতে পারে না যে মুসলিম, বৌদ্ধ বা খ্রিস্টানরা সংখ্যালঘু।

কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট রাজ্যে সংখ্যালঘু তবে অন্য রাজ্যে তারা সংখ্যালঘু নাও হতে পারে। একটি সম্প্রদায় সংখ্যালঘু কি না তার সংজ্ঞা সেই নির্দিষ্ট রাজ্য বা জেলার বর্তমান জনসংখ্যার ওপর ভিত্তি করে হওয়া উচিত। এটি উদ্বেগের বিষয় এবং বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টেও এর শুনানি চলছে
সূত্র দ্য ডেইলি স্টার

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরো সংবাদ