লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় অনুমোদনহীন হেলথ এন্ড মেডিকেয়ার নামে একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশনের পর এক নবজাতকের মৃ ত্যু হয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি মধ্যরাতে এই ঘটনায় দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৭ জানুয়ারি লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ নির্মলেন্দু রায় এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.দিপংকর রায়কে সভাপতি ও হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার (এমওডিসি) ডা.আরিফুল ইসলামকে সদস্য করে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২২ জানুয়ারি মধ্যরাতে ওই ক্লিনিকে এক প্রসূতির সিজার করা হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরে ওই নবজাতকের মৃ ত্যু হয়। এরপর চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় ওই নবজাতকের মৃ ত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি নিয়ে ওই সময় নবজাতকের পরিবার অভিযোগ তুললে রাতেই স্থানীয় এক রাজনৈতিক দলের নেতার হস্তক্ষেপে মিমাংসাও হয়। অপারেশনটি করেন ওই ক্লিনিকের আবাসিক সার্জন দাবিদার ডাঃ রাজিবুল হাসান।
পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাঃ রাজিবুল হাসান তার চিকিৎসাপত্রে নিজেকে এমবিবিএস (রাজ), সি-আল্টা ও পিজিটি-সার্জন দাবি করলেও তার বিএমডিসি রেজি নং খুঁজে দেখা যায় ভিন্ন তথ্য। তিনি শুধুমাত্র একজন এমবিবিএস চিকিৎসক। তার বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার বড় সারালপুর গ্রামে।
একটি সিজার অপারেশনে একজন গাইনী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন, একজন অবস বিশেষজ্ঞসহ একজন এমবিবিএস চিকিৎসক থাকতে হয়।
অভিযোগ রয়েছে, সেটির কোনো কিছুই মানা হয় না এ ক্লিনিকে। ওই ক্লিনিকে শুধু রাজিবুল হাসান কয়েকজন নার্স নিয়ে অপারেশন থিয়েটারে সব কিছু করেন।
অন্যদিকে হেলথ এন্ড মেডিকেয়ার এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল ইসলাম সব কিছু মেনে ক্লিনিক পরিচালনা করা হচ্ছে বলে দাবি করলেও তার কাছে ক্লিনিকের অনুমোদেন পত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে পারেরনি।
এদিকে লালমনিরহাট সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানান, হেল্থ এন্ড মেডিকেয়ার নামে কোনো ক্লিনিকের অনুমোদন নেই। এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।